সময়টা ওই রকমি ছিলো

 



তখন সময়টাই ওই রকম ছিলো।

যে সময়ে যত্ন করে সে বলেছিলো ভালোবাসেনা। 

যত্ন করে দূরে দিলো ঠেলে।

কাঁদতে কাঁদতে অন্ধকার  রুমে চিৎকার  করে 

গলা দিয়ে বের হয়না যেনো কোনো  কথা।

খেতে বসলে গলা দিয়ে নামেনা কিছু।

একা যখন পরিবার  পাশে তাদের  কথা বিরক্ত লাগছিলো, 

আবন্ধ ছিলাম একলা একা  তখন সময়টা ওই রকম ছিলো।

না দিয়েছি গোসল, প্রিয় চুলে  না দিয়েছিলাম চিরুনি। 

পাগলের মত  আর অগোছালো, 

রাতে ঘুম ছিলোনা চোখে,

বুকে অজানা ব্যাথা চিন চিন করতো তখন, 

নীল বিরহে একাকিত্বে শূন্য লাগতো যখন।  

চেতনে অচেতনে বলতাম যখন ফিরিয়ে  দাও প্রভু 

রাখবো এবার অতীব যত্নে, 

আবছায়া মুখটি তার সৃতিতে স্পষ্ট আসেনা, 

সেই প্রিয় মুখের ছবি ফোন কলে ভাসেনা।

বলি সেই সময়ের কথা, 

তখন সময়টা ছিলো ওইরকমি।

তার দেওয়া উপহার জড়িয়ে বলতাম 

এবার  আসবে ফিরে হয়তো

কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি।

তার মন থেকে মুছে যাওয়ার  সেই সময়ের  কথা বলি,

সে বলতো আমি নাকি তার কবিতার  রানী।

যখন শুনিনি  আর সেই  ডাক তার মুখে।

সেই সময়  টাই ওই রকম বিষাক্ত  ছিলো,

সময়টা ওই রকমি ছিলো।


কলমে- নাবিলা তাজনূর নূহা 

Post a Comment

0 Comments