তুমি কি চন্দ্রমল্লিকা কে দেখেছো?
শুনেছো তার কথা?
আমায় বলে, তুমি নাকি ভিনদেশি বাবু?
তুৃমি নাকি মরিচিকা?
তুমি নাকি বিষাক্ত ধোঁয়া?
তুমি নাকি মিথ্যে আবরন?
তুমি নাকি মায়া?
তাই তো শুনলাম কাছে যেতে বারণ?
রটিয়ে বেড়ায় বদনাম পাড়ায়,
তাই তো সবাই তেমন আসেনা তোমার কাছে?
লোকে ভয় পায়।
তোমার নাকি রক্ত চোষা অভ্যাস।
হৃদয় টা নাকি অনেক ক্ষুদ্র?
তোমার নাকি মনের কোনে ভিষণ ক্ষত,
দূর ছড়ায় তার বিচ্ছিরি গন্ধ।
আমিও শুনে চমকে উঠলাম,
গুটি গুটি পায়ে যাচাই করতে এসেছিলাম তোমার দূর্গে।
অন্ধকার কামরার দরজা টা বন্ধ,
খুলতেই বাদুর উড়ে যায় কাঁধ বেয়ে।
শিহরিত গায়ে কম্পিত মন,
তোমার ঘরটা ছিলো অগোছালো ভিষণ,
তুমি ও ঠিক এক কোনে বসে।
আমার দিকে তাকিয়ে ,
বুঝতে পারলাম তুমি আজ ভিষন একা।
আমি ঠিক চিন্তে পারলাম আবরণের আড়ালে আমার চির চেনা সেই শরৎবাবু কে,
শত বছর অপেক্ষার পর পেলাম দেখা তোমায় ছদ্ম বেশে।
সেই মায়া ভরা মুখ খানি আমি রোজ ভোরে দেখি।
মাঝ রাতে স্বপ্নের জালাতনে ঘুম ভেঙে যায়।
শরৎবাবু তুমি না সেই এক ঘিয়েমি মানুষটা।
কামরার আলো কমছে ক্রমশ।
তবুও স্পষ্ট দেখা যায় তোমার ওই নয়ন।
তুমি ভেবেছিলে আমি মেঘ,
হয়তো হারিয়ে যাবো নীলের মাঝে,
নয়তো ঝড়ে পরবো বৃষ্টির ফোটায়।
সেদিন আমার বাক্য গুলো প্রচন্ড অস্পষ্ট ছিলো,
নিজের ইচ্ছে টাকে যথার্থ শব্দে দিতে পারনি তোমায়।
শুধু তাকিয়ে ছিলাম মাঝে মাঝে করুন কন্ঠে বলেছিলাম থেকে যাও বন্ধু হয়ে।
এই সংসারের কি অদ্ভুত নিয়ম,
বীজ ভেঙে হয় চারার সৃষ্টি।
আর মেঘ ভেঙে বৃষ্টি।
কালের নিয়মে এসেছো তো ফিরে,
শরৎ বাবু তুমি তো সেই নিয়মে,
আবারো ফিরে এলে নতুন নামে নীল হয়ে।
0 Comments